The Calcutta mirror desk: মহা অষ্টমী এবং মহানবমীর মিলনে হয় সন্ধিপূজো। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে বেলুড় মঠে আয়োজন করা হয় সন্ধিপুজোর। এই সময় দেবীর চামুণ্ডা রূপ থাকে। সন্ধি পূজার পরবর্তীতে দেবীর দিকে তাকাতে নেই তাতেই নাকি সাধারণ মানুষের জীবনে বিপদ ঘনিয়ে আসে। সন্ধিপূজা শুরু হয় বিকেল ৫ঃ৪৩ মিনিটে, চলে ছটা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। দেবীর উগ্র এবং ভয়ালরুপ এই সময়ে পুজিত হয়। দেবী চামুন্ডা এই সময়ে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভশক্তির আরাধনা করেছিলেন। দেবী এই সময় হয়ে উঠেছিলেন সংহার হারিনি। যুদ্ধের সময় রক্ত বীজের রক্ত পান করেছিলেন তিনি। এই সময় দেবী নাকি মায়া-মমতা হীন পাথর হয়ে গিয়েছিলেন তার মধ্যে কালি জাগ্রত হয়েছিল। দুই অসুর যখন দেবীকে আক্রমণ করেন তখন তিনি দেবী তার স্নেহ মমতা সব কিছু হারিয়ে ফেলেন। এরপরই দেবী চণ্ডী রূপ ধারণ করেন। একসময় তিনি নরকাসুরকে বধ করবার জন্য বীভৎস রূপ ধারণ করেন। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্রই এই সন্ধিপুজো হয়েছে। যথাযথ মর্যাদায় এই সন্ধিপূজো হয়। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনেই। বেলুড় মঠের সন্ধি পুজো শুরু হয়েছিল। এদিন এই সন্ধি পুজো দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছিলেন বেলুড় মঠে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তরা ছুটে এসেছিলেন এই বিশেষ দৃশ্যের সাক্ষী থাকার জন্য।