The Calcutta mirror desk: কোচবিহারের অতি প্রাচীন মদনমোহন ঠাকুর বাড়ি। এই মদনমোহন ঠাকুরবাড়িতে মা দুর্গা আসেন একেবারে সাবেকি সাজে। প্রথাগত নিয়ম-নীতি সবকিছু মেনেই এখানে পূজা হয়।। ১৫১০ সালে মহারাজা বিশ্ব সিংহ এই পুজো শুরু করেছিলেন বলে জানা যায়। তবে সেই সময় এই পুজোতে ছিল না কোন আরম্ভর । কেবল এই পুজোতে ছিল কাঠ এবং বাঁশ। ময়না কাঠ ব্যবহার করে শুরু হয়েছিল পুজো তাই আজও কাঠুরিয়ারা বড় দেবীকে পূজা করবার জন্য এই ময়না কাঠ । এই মূর্তির সাথে লক্ষ্মী সরস্বতী কেউ থাকেন না কেবল মায়ের সঙ্গে থাকেন গনেশ এবং কার্তিক। তার সাথে ডানদিকে এবং বাম দিকে দুর্গার দুই সখি অর্থাৎ জয়া এবং বিজয়া থাকেন। কুমোরটুলি থেকে কোনরকম প্রতিমা আসেনা বরং এখানে প্রতিমা তৈরি করা হয় রাজ আমলের সমস্ত ঐতিহ্যকে বহন করে। দশমীর দিন বিসর্জনের পর আবার সেই মূর্তি তুলে আনা হয়। সেই কাঠামোতে আবার পরের বছরের প্রতিমা তৈরি করা হয়।। দেবীকে সাজানো হয় লৌকিক সাজে। কাঠামিয়া মন্দিরের এই ভয়াল দর্শন দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। কিন্তু দেবী এখানে এভাবেই সেজে আসেন। কোচবিহারের এই বড় দেবীর পূজা না হলে অন্য কোন পূজোর শুরু হয় না এমনকি এই দেবীর বিসর্জনের পরেই ধীরে ধীরে কোচবিহারের বিভিন্ন বারোয়ারি থেকে বনদি বাড়ি দেবীর বিসর্জন হয়।