The Calcutta mirror desk: মা চলে গেলেই এখানে মা আসেন। দেবী দুর্গা কৈলাসের পথে এখানেই নাকি বিশ্রাম নিয়েছিলেন। আর সেই থেকে দশমীর পর দিন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি জেলায় মা চলে গেলেই শুরু হয় মায়ের পুজো। এখানে মা দুর্গা ভান্ডানী হিসেবে পরিচিত। মূলত এই সকল জেলা গুলি প্রাচীন রাজবংশী সম্প্রদায়ের অধ্যুষিত এলাকা। এখানেই মা দুর্গা পুজিত হন ভান্ডানী রূপে।
এই সময় বিজয়া দশমীর পরেই শুরু হয় ভান্ডানী পুজো। রাজবংশী সমাজে তিনি কৃষি এবং সমৃদ্ধির দেবী হিসেবে পুজিত হন। দেবী ভান্ডানী মা দুর্গার একরূপ হলেও তিনি এখানে মহিষাসুরমর্দিনী হিসেবে আসেন না। তার দুটি হাত। দেবীর বাহন সিংহ নয় বাঘ । তার দুই পাশে থাকেন লক্ষ্মী সরস্বতী গণেশ এবং কার্তিক। এই পুজোয় তিনি মহিষাসুরকে বধ করেন না। দেবী এখানে মহিষমর্দিনী রূপে পুজিত হন না। একাদশী তিথি থেকে শুরু হয় এই পুজো অনেক জায়গায় এই পুজো একদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় আবার কোন কোন জায়গায় লক্ষ্মী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলে। পুরোহিতের নাম এখানে দেউসি। তাকে শস্য এবং প্রাচুর্যের দেবী হিসেবে অভিহিত করা হয়। ভালো ফসল এবং পরিবারের সুখ সমৃদ্ধির আশায় তার পুজো করেন সকলে।
জনশ্রুতি রয়েছে দশমীর দিন মহিষাসুরকে বধ করে কৈলাসে ফিরছিলেন দেবী দুর্গার সেই সময় উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চল দিয়ে যেতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। রাজবংশী কুটিরে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। গ্রামবাসীদের আতিথেয়তায় অত্যন্ত তুষ্ট হয়ে ওঠেন তিনি। দেবী আশীর্বাদ করেন সকলের ঘর থাকবে ধনধান্যে পরিপূর্ণ। কেউ কেউ আবার তাকে বন দুর্গা বলে অভিহিত করেন।