The Calcutta mirror desk: টয় ট্রেনে চেপে বাড়িতে ফিরলেন দুর্গা। পালকিতে চড়ে কিংবা নৌকায় চড়ে নয় বরং মা দুর্গা এবার বাড়িতে ফিরলেন ট্রয় ট্রেনে চেপে। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গেও একই সাথে সংঘটিত হয় দুর্গাপুজো। দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন প্রান্তে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। তবে পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে এবার বাড়িতে ফেরার পালা। দার্জিলিং এর শৈল শহর থেকে কৈলাসে ফিরছেন দেবী। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন পর্যটক থেকে সেখানকার সাধারণ মানুষজন। দশমীর দিন সমস্ত রীতিনীতি মেনে আয়োজন করা হয়েছিল বিসর্জনের।
দার্জিলিং থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রংবুল এলাকায় এই বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। টয় ট্রেনে করে দেবীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মন্ডপ থেকে বাতাসিয়া লুপ ঘুরিয়ে। দার্জিলিংয়ের যে প্রাকৃতিক ঐতিহ্য তার সাথে মাকে মিশিয়ে দিতে এই টয় ট্রেনে করেই তাকে ঘোরানো হয়েছিল পাহাড়ে। উচ্চতম রেল স্টেশন ঘুম থেকে রংবুল পর্যন্ত গিয়েছিলেন দেবী দুর্গা । বিসর্জনের দিন বিভিন্ন মন্দির কমিটির তরফ থেকে বুক করা হয়েছিল একটি টয় ট্রেন। শুধুমাত্র দুর্গা নয় তার ছেলেমেয়েদের এভাবেই টয়ট্রেন ভ্রমণ করানোর জন্য ব্যবস্থা করা হয়। গোটা ট্রেনে উপস্থিত ছিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা এ যেন ছিল এক অন্যরকম পাওনা। এদিন বিষাদের মাঝেও যেন সকলের মধ্যে ছিল আনন্দ। আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে দেবী দুর্গা এবং তার ৪ সন্তান রওনা দিয়েছিলেন কৈলাসের উদ্দেশ্যে!
উল্লেখ্য এই প্রথমবার টয় ট্রেনে চেপে দেবীকে পাঠানো হলো কৈলাসের উদ্দেশ্যে। শুধুমাত্র পুজো নয় বিসর্জনেও থাকে আনন্দের সুর। আর এই সুর যেন পুনরুজ্জীবিত হলো। বলা ভালো, বিসর্জনের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল এই টয়ট্রেনে চেপে দেবীর কৈলাস গমনকে ঘিরে।


