The Calcutta mirror desk: দশমীর পরেও এখানে থাকেন দুর্গা। বাংলাতেই রয়েছে এমন এক গ্রাম যেখানে দশমীর পরেও থাকেন মা দুর্গা। নবমীর রাত আসলেও কারোর মন খারাপ হয় না। তার কারণ দশমীর পরেও এখানে বহাল তবিয়াতে থাকেন তিনি। বিজয়ার পরেও তাকে দেখা যায় এখানে। বাপের বাড়িতে বেশ কয়েকদিন কাটিয়ে মেয়ে লক্ষীকে নিয়ে তিনি রওনা দেন কৈলাসের উদ্দেশ্য। প্রায় ২০০ বছর আগে শুরু হয়েছিল ভৈরব ভট্টাচার্যের বাড়ির দুর্গাপুজো। এই পরিবারে বাড়ির মেয়ে হিসেবেই দেখা হয় দুর্গাকে। এই পরিবারের বিশেষত্ব এখানে দেবী দুর্গাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সোনায় মুড়িয়ে দেওয়া হয়
।। সোনার চাদর দিয়ে তাকে সাজানো হয়। তার দশটি হাতে থাকে রুপোর তৈরি অস্ত্র। পরিবারের কুল দেবতা নারায়নকে সামনে রেখেই মেয়ের আরাধনা করা হয়। সন্ধি পূজার সময় ঠাকুর দালানে আসে ভ্রমর। এরপরই দেবীর চরণ থেকে সাজানো ফুল পড়ে যায় আর তাতেই নাকি পুজোর সম্পন্ন হয়। নবমীর দিন এখানে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পুজো। পূজোর সাথে সাথে চলে পেট পুরে খাওয়া দাওয়া। খিচুড়ি পায়েস থেকে শুরু করে নানান রকম ফলাহার দেবীর ভোগে থাকে। এখানে মেয়ের মতোই বিরাজ করেন দুর্গা। লক্ষ্মীপূজো হয় এই বাড়িতে। ধুমধাম করে দুর্গার মেয়ে লক্ষীর পুজো করে থাকেন সকলে।
এরপর একই সাথে দুর্গা এবং লক্ষীকে বিদায় দেওয়া হয়। বাংলার জঙ্গলমহল অধ্যুষিত বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া গ্রামে ভট্টাচার্য পরিবারের পুজোতে রয়েছে এমনই চমক। সেখানে দেবী দুর্গা যেমন আসেন মেয়ে লক্ষীকে সাথে নিয়ে তেমনভাবেই লক্ষ্মীর সাথেই তিনি পাড়ি দেন কৈলাসের উদ্দেশ্যে।


