The Calcutta mirror desk: পূজো হয়েছে শেষ। শহরের আলো গিয়েছে নিভে। আর এই পুজোর সময় যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় যাদের ছাড়া পুজোর শব্দ বোঝা যায় না। সেই ঢাকিরাও ফিরে গিয়েছেন একে একে তাদের বাড়ির পথে। ঢাকের আওয়াজ শেষ হতেই যেন বিষাদের আওয়াজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে সর্বত্র বিজয়ার পালা চলছে। জঙ্গলমহল মুর্শিদাবাদ বাঁকুড়া বীরভূম বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তারা এসেছিলেন শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ গুলিতে। পাঁচটি দিন তারা ব্যস্ত ছিলেন।
ষষ্ঠী থেকে শুরু হয়েছিল তাদের কাজ দশমিক দিন শেষ হয় তাদের কাজ। তবে তাদের পুজো শুরু হয় বিজয়া দশমীর পরেই। দশমীর দিন আসতেই তাদের মুখে হাসি ফোটে তার কারণ প্যান্ডেল থেকে তাদের ফিরে যেতে হবে বাড়ির পথে। ছেলে মেয়েদের জন্য ভালো খাবার নতুন জামা কিনে নিয়ে যেতে পারবেন। প্রতিমা দর্শন না করলেও তাদের মনে যেন প্রশান্তির ছাপ। ভালোবাসার বাঁধন আরো শক্ত করে এই বিজয়া। তাদের কাছে আসল উৎসব যেন বিজয় দশমীর পরেই শুরু হয়। ছোটখাটো বকশিশ পান তারা আবার বাড়ি বাড়ি ঘুরে জোগাড় করেন নানান রকম উপহার। শুধুমাত্র পুরুষ ঢাকিরাই নয় মহিলা ঢাকিরাও সমানভাবে এখন অংশগ্রহণ করেন এই কাজে। অনেকে তো আবার দুর্গাপূজো শেষে লক্ষ্মী পুজোতেও বরাত পান।
কালী পুজোতে ঢাকের বরাত থাকলেও তা খুবই কম। তবে দুর্গাপুজো যেন ঢাকির ঘরে শুরু হয় একাদশী থেকেই। তাদের রুজি রোজগার সামান্য উপার্জন সবকিছুই সোনায় সোহাগা হয়ে ওঠে এই একাদশী থেকেই। তাদের ঘর আলোয় ভরে ওঠে দুর্গা জলে যাবার পরেই।