গ্রামে হয় না একটিও দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো রূপ নেয় দুর্গোৎসবে

0
36

The Calcutta mirror desk: এই গ্রামে হয়না দুর্গাপুজো। এই গ্রামে পুজিত হন কেবল দুর্গার মেয়ে লক্ষী। গোটা গ্রাম জুড়ে কোথাও নেই দুর্গা মন্ডপ। দুর্গা ঠাকুরের কোন পুজো হয় না এই গোটা গ্রামে। এই গ্রামে শুধুই যে লক্ষ্মীপূজো হয় এমনটাই নয় এই গ্রাম জুড়ে এক সম্প্রীতির আবহ এবং বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।

হিন্দু এবং মুসলমান এখানে সবাই এক দেবী মা লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠেন সবাই। হিন্দু মুসলমান শিখ খ্রিস্টান সকলেই এই গ্রামে মেতে ওঠেন দেবী লক্ষ্মী অর্থাৎ প্রাচুর্যের দেবীর আরাধনায়। এখানে দেবী লক্ষ্মী সম্প্রীতির এক বার্তা বহন করে নিয়ে আসেন তা বলাই বাহুল্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রায়দিঘি বিধানসভার সদিয়াল গ্রামে দেবী লক্ষ্মী পুজিত হন মা দুর্গার মতন। মহাসমারোহে তার পূজো করা হয়। হিন্দু মুসলিম বলে কোন ভেদাভেদ থাকে না বরং এই গ্রামে সকলেই একসাথে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন। তার সাথে পাঁচ দিন ধরে চলে খাওয়া দাওয়া। এখানে লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে নানান রকম সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয় লক্ষ্মী পূজার চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে মন্ডপ তৈরি সবকিছুতেই একসাথে হাত লাগান হিন্দু মুসলমান সকলেই। প্রতিদিন চলে নানান রকম ধামাকাধার খেলা। পুজো মণ্ডপের যাবতীয় যোগার যন্ত্র সবকিছু হিন্দু-মুসলমান একসাথেই করেন।

সম্প্রীতি এবং সহানুভূতির অবিচ্ছেদ্য এক বার্তা তৈরি হয় এই মন্ডপ জুড়ে। শুধু তাই নয় এই মন্ডপে যাদের সাধারণ মানুষ দর্শন করতে এসে সম্প্রীতির বার্তা পান তার জন্য নানান কর্মসূচি করা হয়। গত কয়েক দশক ধরে এই এলাকায় লক্ষ্মীপূজোর আয়োজন করা হয়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করে লক্ষ্মীপূজোকে দুর্গাপুজোর রূপে রূপান্তরিত করেন তা বলাই বাহুল্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here