The Calcutta mirror desk: সাধারণত দেবী কালিকে ভয়ংকরী হিসেবেই দেখা হয়।  তিনি চন্ডী। তার শরীরে নেই লেশমাত্র নম্রতা। চতুর্ভূজা দেবী যেন সবসময়ই তারা রুদ্র মূর্তি ধারণ করে ভক্তদের অভয় প্রদান করেন। সাধারণত দেবীর চারটি হাত। তবে এখানে তিনি একটু আলাদা তার দশটি হাত। ভয়াল দর্শন দেবীর দশটি হাতেই তিনি যেন অভয় দিয়ে যান।
দুর্গার মতন তিনি দশভূজা। তার মাথা এবং পা ১০ টি । কোথায় পুজিত হন এই দেবী মূর্তি? দেবী কালীর পুজো করা হয়। মালদহের ইংলিশ বাজারে। দেবীর পায়ের নিচে থাকেন না শিব। অসুরের কাটা মুন্ডু তার পদতলে থাকে। দশ ধরনের অস্ত্র থাকে তার দশটি হাতে। অমাবস্যয় দেবীর পূজা হয় না বরং চতুর্দশীতে তার পুজো করা হয়। চতুর্দশী সকালবেলা দেবীর পূজা করা হয়। ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির গঙ্গাবাগ মাঠে দেবীর আরাধনা করা হয়। ভয়ংকরী এই দেবতাকে অর্পণ করা হয় পাঠাবলির রক্ত।
দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তরা ছুটে আসেন তাকে এক পলক দেখার জন্য। তবে কেন এখানে চার হাতের বদলে দশ হাতে পুজিত হন দেবী কালী তার কোন নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। মনে করা হয় স্বপ্নাদেশে তার পুজো শুরু হয়েছিল। তারপর থেকেই প্রতি অমাবস্যায় আগে চতুর্দশীতে তার পুজো করা হয়। তার এই কাল ভয়ংকরী রূপের মধ্যেই রয়েছে স্নিগ্ধতা বলে থাকেন এই পুজো কমিটির সদস্যরা। প্রসঙ্গত মালদায় অতি বিখ্যাত শক্তির আরাধনা তার মধ্যে অন্যতম এই দশ হাত দশ মাথা এবং ১০ পা বিশিষ্ট মহাকালী।


