The Calcutta mirror desk: বাংলায় যে সকল কালি মন্দির অত্যন্ত বিখ্যাত তার মধ্যে একটি নৈহাটির বড় মা কালী। বড়মা পূজো নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানান কাহিনী। মায়ের অসীম কৃপার কথা কার অজানা। সুবিশাল এই প্রতিমা তার কাছে গেলেই সকলে নতমস্তকে প্রণাম করেন। ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মূর্তি।
ভক্তরা বিশ্বাস করেন দেবীর রয়েছে এক অলৌকিক শক্তি তিনি সহজেই ভক্তদের যে কোন মনস্কামনা পূরণ করতে পারেন। প্রায় ১০০ বছর আগের কথা নবদ্বীপে রাস উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন রিকশা চালক ভবেশ চক্রবর্তী। এরপর তিনি নৈহাটিতে এই বড় কালীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকেই এই বড় কালী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঋশি অরবিন্দ রোডের পাশেই শুরু হয়েছিল এই পুজো আগে এই পুজোর পরিচিতি ছিল ভবেশ কালি রূপে। তবে ধীরে ধীরে অতিকায় এই দেবীর মূর্তি বড়মা রূপে পূজিত হয়ে যায়। ভিন দেশ এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও বহু ভক্তরা ছুটে আসেন মায়ের কাছে। বড় মার নাম উচ্চারণ করলেই নাকি যে কোন বিপদ কেটে যায়। অনেকে বলে থাকেন দেবীর পায়ে একবার হাত দিলেই নাকি যাবতীয় শান্তি চলে আসে। দেবীর শরীরে পড়ানো হয় লাখ লাখ টাকার অলংকার। শুধু তাই নয়, দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্তরা ছুটে আসেন শুধু তার চোখ দেখার জন্য।
বলা হয় নৈহাটিতে সবার আগে বিসর্জন হয় বড়মার তারপরেই অন্যান্য মাতৃ প্রতিমা বিসর্জিত হয়। সারা বছর নিত্য পুজো হয়ে থাকে এখানে দেবীকে চার দিন বিশেষ ভোগ নিবেদন করা হয় কালী পূজার সময়। খিচুড়ি পাঁচ রকমের ভাজা তরকারি লুচি পোলাও চাটনি পায়েস এবং লাড্ডু ভোগ দেওয়া হয়।


