The Calcutta mirror desk: ডাকাতের হাতে শুরু হয়েছিল এই কালীপুজো। কালে কালে ডাকাতেরা না থাকায় এই পুজো রূপান্তরিত হল পাঁচ বোনের কালীপুজো রূপে। এখানে মায়ের কাছে ভোগ দিলে যাবতীয় মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। এমনটাই লোকের বিশ্বাস।
এই কালী পূজা এখন প্রচলিত হয়েছে পাঁচ বোনের কালীপুজো রূপে। ৫০ কিংবা ষাট বছর আগে নয় প্রায় ৩৫০ বছর আগে চালু হয়েছিল এই পুজো। মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ব্লকের ষষ্ঠী তলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকায় এই ৫ বোনের কালীপুজো অত্যন্ত বিখ্যাত। সেই সময় রাজমহল থেকে আন্ধারু পারা সর্বত্র ছিল ডাকাতদের আনাগোনা। ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে স্মরণ করেছিলেন দেবী কালীকে। আলাদাভাবে পাঁচটি জায়গায় পাঁচটি কালির মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন এই অঞ্চল ছিল অরণ্যে ভরপুর। জঙ্গলের কাছাকাছি এই পুজো হতো বলে তেমন মানুষের দেখাও পাওয়া যেত না।
কিন্তু এই পাঁচটি কালীর পুজো এখানে পাঁচ বোনের পুজো হিসেবে খ্যাত হয়ে যায় পরবর্তীকালে। এখনো পর্যন্ত তিন বোনের মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হলেও বাকি দুই বোনের পাথরের মূর্তি বিসর্জিত হয় না। তারা এখনো অক্ষত রূপে থেকে যান। এরমধ্যে ষষ্ঠী তলায় পূজিত হন ডাকাত কালী এবং রাজমহল রোডে পুজো করা হয় কাঁচা খাকি কালি। আবার কুটি তলায় পুজো করা হয় ছোট বোনের। আন্ধারু পাড়ায় মশাল কালীর পূজা করা হয়। এই পাঁচ বোনকে যদি ভোগ নিবেদন করা যায় তবে মনের যাবতীয় ইচ্ছা পূরণ হয়। তিনজন বোনকে মহানন্দার জলে নিরঞ্জন করা হলেও দুই বোনকে এখনো অক্ষত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়।


