The Calcutta mirror desk: বজ্রপাতে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল মন্দির এবং মায়ের বিগ্রহ। তারপর থেকেই পোড়ামা হিসেবে পুজিত হন তিনি। কালীপুজোর মুখে নবদ্বীপের পোরামা তলা মন্দিরে যেন তিল ঠাঁই নেই। দূর দুরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন মায়ের দর্শন পাওয়ার জন্য। যে নবদ্বীপ মূলত নিতাই গৌরাঙ্গ এবং শ্রী চৈতন্য ধাম হিসেবেই পরিচিত সেখানে মা কালী পুজো।
দিনের বেলাতেও যেন অন্যরকম পরিবেশ এখানে গেলেই গা ছমছম করে। বট গাছের তলায় যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারেনা সেখানেই দেবী শক্তির আরাধনা হয়। কথিত আছে এই বটগাছ একসময়ে বজ্রপাতের কারণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল আর সেই থেকেই গাছের নিচে থাকা বিগ্রহ পুড়ে যায়। এখানে দেবীর কোন মূর্তি নেই। দেবীর কোন আকার নেই। কেবল একটি ঘটে দেবীর পূজা করা হয়। বিশ্বাস ওই ঘটের মধ্যেই দেবী বসবাস করেন। প্রাচীন বটগাছ এবং তাতে বহু মানুষ তাদের মনের ইচ্ছের জন্য বেঁধে রেখেছেন ঢিল। সেই ইচ্ছে পূরণ হলেই খুলে দেওয়া হয় ঢিল। প্রতিটি সুতোয় হাজারো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি গাঁথা রয়েছে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন চৈতন্যদেবের অন্নপ্রাশন হয়েছিল এখানেই। দেবী শক্তির আরাধনা করলে যাবতীয় রোগ দুঃখ শোক কেটে যায় এমনটাও বিশ্বাস করেন ভক্তরা। মন্দির চত্বরে ঢুকলেই দেখা যায় অসংখ্য দোকান সেখানে পাওয়া যায় পূজোর ফুল নৈবেদ্য এবং বিভিন্ন প্রসাদ
। পোড়ামাতলা মন্দিরের গা ঘেঁষে রয়েছে ভবতারিনীর মন্দির। দেবী ভবতারিণী এখানে নিয়মিত পূজিত হন। এই দুটো মন্দির ছাড়াও নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়ি দেখতে আসেন বহু মানুষ।। কৃষ্ণ এবং কালীর এক অদ্ভুত মাহাত্ম্য যেন মিশে গিয়েছে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে।