The Calcutta mirror desk: বড়মা শুধু নৈহাটিতে নয় রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ঠিক তেমনি পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ব্লকে একটি ছোট্ট এলাকায় শ্মশান কালী পুজিত হন বড়মা রূপে। ডাকাতরাই প্রথম এই কালীপুজো শুরু করেন। এই পূজোর দায়িত্ব পরে পেয়ে যান রাধা কৃষ্ণ চন্দ্র এবং রাজা বিজয় চাঁদ মহতাব।
স্বপ্নাদেশে এই দেবীর পরিচর্যা করবার নির্দেশ পেয়েছিলেন রাজা বিজয়চাদ। তারপর থেকেই তিনি সারম্বরে এই পুজো শুরু করেন। তিনি এই পুজো করতে আসতেন হাতির পিঠে চড়ে। এরপর রাজার সেবায়ত সরকার বাড়ির লোকেরা এই দেবীর পূজোর দায়িত্ব পেয়ে যান। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। ভক্তি এবং নিষ্ঠার সাথে আজও এই পুজো হয়ে আসছে। আউসগ্রাম ব্লকের তকিপুরের এই পুজো অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী পুজোতে রূপান্তরিত হয়েছে। এখানে বড়মা সর্বজনবিদিত। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তরা এখানে ছুটে আসেন মায়ের দর্শন পেতে। একসময় শ্মশানে যে পুজোর প্রচলন ছিল সেই পুজো আজ বারোয়ারি রীতিতেই করা হয়
। শুধুমাত্র বর্ধমান নয় বাঁকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর পুরুলিয়া প্রভৃতি বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে ভক্তরা ছুটে আসেন মায়ের কাছে দরবার নিয়ে। তবে আগের আরাম্বর না থাকলেও এখনও সেই পুরনো রীতি রেওয়াজ রয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি পরিবারের পুজো নয় বারোয়ারি পূজো হিসেবেই পরিচিত হয়ে গিয়েছে। ভক্তরা যেমন তাদের মনস্কামনা জানাতে আসেন তেমনি মানুষ কামনা পূরণ হলে তারা নানান রকম উপঢৌকন দিয়ে থাকেন