The Calcutta mirror desk: বাংলার অন্যতম শক্তিপীঠ তারাপীঠ। কৌশিকী অমাবস্যা হোক কিংবা গলাকাটা অমাবস্যা বিভিন্ন সময়ে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এখানে। ভক্তদের ডাকে মা যেন চোখ ফেরাতে পারেন না। কালী পূজা উপলক্ষে এ বছর তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়ের সমাগম হতে চলেছে। রয়েছে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা।
সোমবার ভোর চারটে নাগাদ শিলার মূর্তিকে করানো হবে মহাস্নান। এরপর দেবীকে রাজ বেশে সাজিয়ে চলবে মঙ্গল আরতি। মন্দিরের গেট খুলে দেওয়া হবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কালীপুজোর জন্য সারাদিন খোলা থাকবে গেট অর্থাৎ ভক্তরা যেকোনো সময়ে পৌঁছাতে পারবেন। সন্ধে ছটা নাগাদ শুরু হবে দেবীর সন্ধ্যা আরতি পুজো হবে রাত ১২ টায়। ডাকের সাজ এবং সোনার গয়না দিয়ে দেবীকে সাজিয়ে দেওয়া হবে। কার্তিক অমাবস্যা এভাবেই দেবীর রানী রূপে পূজিত হবে। দেবীর ভোগে থাকবে ভাত পোলাও ৫ রকম ভাজা এবং ডাল এছাড়া তরি তরকারি মাছ পাঁঠার মাংস শোল মাছ পোড়া।
পাঁচ রকমের তরকারি ছাড়াও চাটনি পায়েস এবং মিষ্টি। এছাড়া মায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভোগ কারণবারি। শীতল ভোগে দেবীকে দেওয়া হবে লুচি মিষ্টি খই এবং মুরকি। চলতি বছর তারাপীঠে রেকর্ডসংখ্যক দর্শনার্থীদের ভিড় হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। চতুর্দশী থেকেই ভক্তদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এখানে। অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত চলবে মায়ের এই পূজা অর্চনা।