The Calcutta mirror desk: ভাইফোঁটায় দিদি অথবা বোনেরা নিজের ভাই অথবা দাদার মঙ্গল কামনায় ফোটা দিয়ে থাকেন। ভাই এবং দাদা যাতে সমস্ত ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায় তার জন্যই এই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভাইফোঁটা দেওয়ার সময় একটি মন্ত্র উচ্চারণ করেন বোনেরা। সেটি হল ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা যমের দুয়ারে পরলো কাটা। যমুনা দেয় জমকে ফোটা আমি দিয়ে আমার ভাইকে ফোটা।
ভাইফোঁটায় যমের দুয়ারে কাটা ফেলার পর যমের পুজো করা হয় এই বাংলায়। কিন্তু কিভাবে শুরু হল এই যমের পুজো। ভাতৃদ্বিত দ্বিতীয়ার দিন যমের পুজো করা হয়। কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয় তিথিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দেবরায় বকুলতলা তরুণ সংঘ এই যমরাজের পূজার আয়োজন করে। কাঁসাই নদীর ধারে রয়েছে এই গ্রাম সেখানেই যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয়। গ্রাম রক্ষা করার জন্য যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয়। এখানেই শেষ নয় যাদবপুরেও একইভাবে যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয় প্রায় ১৫ বছরের পুরনো এই পুজ। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের তিলাবনি গ্রামে যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয়। যমের স্থায়ী মন্দির রয়েছে এই কলকাতাতে।
বাগবাজারের গিরিশ ঘোষের পাড়ায় জম রাজের পুজো করা হয় যেখানে মোষের পিঠে বসে থাকেন তিনি। তার গায়ের রং সবুজ হাতের রুপোর দণ্ড। ভাই ফোটার আগে বিশেষ পুজো করা হয় এমনকি ভাইফোঁটার দিনে প্রচুর ভক্তরা ছুটে আসেন এখানে। প্রতি বুধবার করা হয় যমের পুজো। ভাইফোঁটার দিন হুগলির আরামবাগে চিত্রগুপ্তের পুজো করা হয়। তার এক হাতে থাকে গদা অন্য হাতে তলোয়ার বাকি দুই হাতে থাকে কলম এবং দোয়াত। তার গায়ের রং সবুজ মহিলারা আবার তাকে ফোটা দেন। বহু আড়ম্বরের সঙ্গে তার পুজোর আয়োজন করা হয়।।