The Calcutta mirror desk: ভাগীরথী নদীর তীরে বসবাস করেন তিনি। বলা হয় ভাগীরথী নদীর তীরে এলাকায় যে কোন মানুষের রোগ ব্যাধি হলেই তার স্মরণ করতে হয়। তিনি রক্ষা করেন। মুর্শিদাবাদ জেলার কিরিটকোনা গ্রামে ভাগীরথী নদীর তীরে বসবাস করেন তিনি । ভাগীরথীর তীরে অবস্থিত দেবী কিরীটেস্বরী মন্দির।
বাংলার সতী পিঠের মধ্যে এটি অন্যতম। দেবীর মুকুটের কণা অর্থাৎ ললাটের নিম্নভাগ এখানেই পতিত হয়েছিল আর তারপর থেকে এখানেই তিনি প্রতিষ্ঠিত হন। দেবীর এখানে কোন মূর্তির পুজো করা হয় না বরং লাল কাপড়ে মোড়া একটি শিলা মূর্তিতে পুজো করা হয়।। এখানে দেবী দক্ষিণাকালি রূপে পুজিত হন। সারাদিন রাত ভোর থাকে ভক্তদের আনাগোনা। পুজোতে রয়েছে পাঠা বলি দেওয়ার চল। শোনা যায় নাটোরের রানী ভবানীর এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর লালগোলার রাজা দর্পনারায়ণ রায় নতুন করে এই মন্দির নির্মাণ করেন। এই দেবীর চরণামৃত খেয়েই কুষ্ঠ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব মীরজাফর
। এই দেবীর মাহাত্ম্য ঘিরে প্রচলিত রয়েছে এমন নানান কাহিনী। কালী পূজা উপলক্ষে অসংখ্য ভক্তদের ভিড়। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা নিজেদের মনস্কামনা জানিয়ে ছুটে এসেছেন দেবীর কাছে। ইতিহাস বিজড়িত এই পিঠস্থান আজও বহন করে চলেছে শক্তি পিঠের ঐতিহ্য