দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ‘ঘটক’ ডেকে বিবাহযোগ্য পাত্র পাত্রী খোঁজ করা এখন প্রায় বন্ধের মুখে এখন অনলাইন বা পত্রিকার বিজ্ঞাপনে বেশি ঝোঁক সাধারণ মানুষের বিশেষ করে ইন্টারনেটের জগতে এখন ঘরেতে বসেই একের পর এক ছবি দেখে পছন্দ করা যায় পাত্র-পাত্রী কিন্তু সে অনলাইনে পাত্র পাত্রী বিচারের ফলেই খোয়া যেতে পারে আপনার দীর্ঘদিনের জমানো সম্পদ সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুত্ব করে প্রতারণার ফাঁদে পড়ার ঘটনা বেশিরভাগই জানা, কিন্তু পাত্র পাত্রী খুঁজতে গিয়ে প্রতারিত হতে হয় এমন ঘটনা অনেকেরই অজানা সাইবার বিশেষজ্ঞরা আবার বলছেন অন্যকথা, অনলাইন পাত্র পাত্রী সাইট থেকেই প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করছে একটি চক্র
একটি নামকরা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী এক যুবতী তার বিয়ের জন্য পাত্র খোঁজার জন্য বেছে নিয়েছিলেন অনলাইন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটকে সেখান থেকে পরিচয় হয় সুনিত মুখার্জি নামক এক বছর 31 এর ব্যক্তির সাথে ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে পরিচয়ের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব গভীরতা পায়, চলে ফোনে কথোপকথন ছেলেটি মেয়েটিকে জানায় সে একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং তার বাবা মায়ের মৃত্যুর পর বোন ও জামাইবাবুর সাথে থাকে বছরে 9 লক্ষ টাকা রোজগার তার এইভাবেই সুপরিচিত হয় যুবতীর সাথে কিছুদিন সম্পর্কে এগোনোর পরে একদিন হঠাৎ করে ছেলেটি মেয়েটিকে জানায় তার বোনের দুর্ঘটনা হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা চাই ছেলেটির উপর বিশ্বাস তৈরি হওয়ায় মেয়েটি ছেলেটির বোনের চিকিৎসার জন্য তার জমানো টাকা থেকে 10 লক্ষ 21 হাজার টাকা দিয়ে দেয় এরপর এই মেয়েটির সাথে সম্পর্ক বন্ধ করে দেয় এই ব্যক্তি ঘটনা তদন্তে সাইবার ক্রাইম পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত সুনিত মুখার্জি
এইরকম ওপর এক ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে ধরা পড়ে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং তার ভাই তারাও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে মেয়েদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে প্রতারণা করত সাইবার বিশেষজ্ঞদের দাবি ‘এধরনের ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটগুলি প্রথমত বিচার করে দেখেনা প্রতিটি প্রোফাইল সঠিক কিনা তাদের ব্যবসার জন্য প্রোফাইল খোলায় এর ফলে যে কোন মানুষ এখানে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করতে পারে ‘ সাইবার ক্রাইম পুলিশের এক কর্তার মতামত ‘আগে সোশ্যাল মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে প্রতারণা করা হতো এখন মানুষ সচেতন হয়ে যাওয়ায় এই পথটি বেছে নিচ্ছেন অপরাধীরা তাই এই ধরনের ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে পাত্র পাত্রী বাছাই করে আগেই বন্ধুত্বের গভীরতা না বাড়িয়ে একবার যাচাই করা উচিত, অর্থাৎ সেখানে দেওয়া পরিচয়, ঠিকানা জেনে সেই ঠিকানায় গিয়ে খোঁজ নেওয়া উচিত তার সাথে কর্মক্ষেত্রেও খোঁজ নিয়ে দেখা উচিত যে সত্যিই সে সেখানে কাজ করে কিনা এই যাচাইয়ের পরে কোনো সম্পর্কে এগোলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এছাড়াও সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি পেলেও আর্থিক লেনদেনের আগে সত্যতা যাচাই করা উচিত, বলে মত বিশেষজ্ঞদের কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক সম্পত্তি হাতানোর জন্যই এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়, বলে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের দাবি