৩০ বছর ধরে প্রতিদিন ১৫ কিমি পথ হেঁটে চিঠি বিলি করেছেন এই পোস্টম্যান

0
88

দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো : রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘন্টা বাজছে রাতেরানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে ।রানার রানার চলেছে,রানার রাত্রির পথে পথে চলে কোন নিষেধ জানে না মানার।দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার, রানারকাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।।
  সোশ্যাল নেটওয়ার্কের যুগেও আজ সচল পুরোনো অভ্যাস। দেশের বুকে এখনো তরতাজা পোস্টমাস্টারের সেই ডাক। জেন এক্স- ওয়াই যুগেও কবির “রানার” কবিতার স্মৃতি উস্কে এলো আরো একবার।  একবিংশ শতাব্দীর এই ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য তামিলনাড়ু। ৩০ বছর ধরে প্রতিদিন ১৫ কিমি পথ হেঁটে চিঠি বিলি করেছেন এই পোস্টম্যান। তামিলনাড়ুর ডি. সিভান নামের পোস্ট মাস্টার শুধু মাত্র সড়ক পথ দিয়েই নয়, নীলগিরি পাহাড়ের রেলপথ দিয়ে পিচ্ছিল জলপ্রপাত পেরিয়ে প্রতিদিন কন্নড়ের কাছে হিলগ্রোভ পোস্ট অফিসে পৌঁছতেন কাজ সম্পন্ন করতে। শুধু ঘন জঙ্গল নয়, বন্য প্রাণীর আক্রমণের আশঙ্কা নিয়ে প্রতিদিনই ১৫ কিলোমিটার দুর্গম পথ হেঁটে চিঠি বিলি করেছেন তামিলনাড়ুর এই ডাকপিয়ন ডি সিভান। টানা ৩০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গেই তিনি কাজটি করে গেছেন। সম্প্রতি কাজ থেকে অবসর গ্ৰহণ করেন। প্রায় তিন দশক পর কাজের প্রতি তার এই নিষ্ঠা দেখে আপ্লুত অনেকেই হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ভেসে উঠেছে হাজারো মন্তব্যের ঝড়। সিভান নামের ওই ব্যক্তি টানা ত্রিশ বছর ধরে চিঠি নিয়ে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে ছুটেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে।  চিঠি বিলি করতে গিয়ে ৬৬ বছরের সিভানকে অনেক সময় বন্য হাতি, সাপ, ভালুক এবং অন্যান্য বন্য প্রাণীরও মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও নিজের দায়িত্ব থেকে একদিনের জন্যও তিনি পিছু হটেননি। বরং চ্যালেঞ্জ নিয়েই তিনি দুর্গম পথ পাড়ি দিয়েছেন প্রতিদিনই। আইএএস অফিসার সুপ্রিয়া সাহু বুধবার ওই ডাকপিয়নের কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর অবসরে যাবার কথা জানিয়েছে টুইটারে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ডাকপিয়ন ডি সিভান কুন্নুর দুর্গম অঞ্চলে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ঘন বনাঞ্চল দিয়ে প্রতিদিন ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। ‘ তিনি আরও লিখেছেন, এজন্য তাকে বন্য হাতি, ভালুক,পিচ্ছিল স্রোত এবং জলপ্রপাত পার হতে হয়েছে প্রতিদিন। গত সপ্তাহে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত ৩০ বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করে গেছেন। অনেকে কাজের প্রতি সিভানের নিষ্ঠা থেকে তার প্রশংসা করেছেন। কেউ আবার তার সেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ কেউ এমন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে পুরষ্কার দেওয়ার কথাও লিখেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here