The Calcutta Mirror Desk :
এক কাপ কফি সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে। আবার এক কাপ কফিই রাতের ঘুম কেড়ে. নিতে পারে। কফি খাওয়ার অভ্যাস কমবেশি সকলেরই। কেউ দিনের শুরুতে কফি খান, আবার কেউ দিনে ৫-৬ বারের বেশি কফি খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এতে কোনও উপকার মেলে? কফি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, যদি আপনি সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময়ে খান। কোন সময়ে কফি খাওয়া উচিত, এবং কখন এড়িয়ে চলবেন জেনে নিন।
খালি পেটে কফি খাবেন না
দিনের শুরুতে কফি খেলে কাজ করার এনার্জি মেলে। কিন্তু সেটা খালি পেটে খেলে চলবে না। তখন গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়বে। আর এটা অভ্যাসে পরিণত হলে মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। দিনের বেলা তখনই কফি খাওয়া উচিত যখন কর্টিসল লেভেল নিজেকে কমবে। ঘুম থেকে ওঠার এক ঘণ্টা পরে কফি খান। ভারী ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পরে কফির কাপে চুমুক দিতে পারেন।
কাজের ফাঁকে খেতে পারেন
দিনভর স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন। কাজের উপর মনোযোগ দিতে পারেন না। এই সময়ে এক কাপ কফি আপনার মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে পারে। বিশেষত দুপুর ১-৩টের সময়ে যখন চোখে ঘুম নেমে আসবে, তখন কফি খেতে পারেন। তবে খালি পেটে কফি খাবেন না। লাঞ্চ খাওয়া ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে কফি খান।
বিকেলের পরে আর কফি নয়
অনেকের অভ্যাস রয়েছে, সন্ধেবেলাও কফি খাওয়ার। কফি ডেটে গেলেও কফি খাবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার ৬-৮ ঘণ্টা আগে শেষবার কফি খান। বিকেলের পরে কফি খেলে রাতে ঘুম হবে না। তখন আপনার শরীরে ভরপুর এনার্জি। তাই বিকেল ৪টের পরে আর কফি খাওয়া চলবে না।
দিনে কত কাপ কফি খাওয়া যায় ?
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক সারা দিনে ৩০০-৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ, দিনে ৩-৫ কাপ কফি খাওয়া যায়। এর চেয়ে বেশি কফি খেলে ঘুমের সমস্যা, অ্যাংজ়াইটি, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা বাড়তে পারে। তবে দুধ, ক্রিম, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেলে ভালো। দুধ-চিনি দিয়ে কফি খেলে ওজন বাড়তে পারে এবং পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।


