The Calcutta Mirror Desk :
পরিসংখ্যান দেখলে, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এতদিন ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল ১৭ বার। ভারত জিতেছিল ১৬ বার ও মাত্র একবার জিতেছিল পাকিস্তান। সেই পরিসংখ্যান থেকেই অনুমান করা গিয়েছিল কী হবে ম্যাচের ফল। সেটাই হলো। বাংলাদেশকে হেসেখেলে ওড়াল ভারত। ৪১ রানে জিতে ফাইনালে প্রবেশ করল। অপ্রতিরোধ্য হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালে নামবে টিম ইন্ডিয়া।
এই ম্যাচে খেলেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। পিঠের চোটের কারণে বিশ্রামে ছিলেন তিনি। বদলে টস করেন জাকের আলি। তিনি টস জিতে বোলিং নেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত তাঁর বিপক্ষে আসে। ভারত প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৬৮ রান। অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিলের ওপেনিং জুটি করে ৭৭ রান। ২৯ রানে গিল ফেরার পর অবশ্য ভারতের রান তোলার গতিটা কিছু হলেও কমে যায়।
শিবম দুবে, সূর্যকুমার যাদব ও তিলক বর্মা করেন যথাক্রমে ২, ও ৫ রান। অভিষেক শর্মা সর্বোচ্চ রান করেন। ৩৭ বলে ২০২.৭০ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তিনি ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে হার্দিক পান্ডিয়া একটা দুর্দান্ত ক্যামিও খেলেন। ২৯ বলে ৩৮ রান করে তিনি দলের রানকে এই স্তরে নিয়ে যান।
বাংলাদেশ মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বল করে। সাইফ হাসান দুই ওভারে মাত্র সাত রান দেন। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে তাঁকে দিয়ে চার ওভার বল করানি অধিনায়ক। রিশাদ হোসেন নেন দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন তানজ়িম হাসান সাকিব, মুস্তাফিজ়ুর রহমান ও সাইফুদ্দিন।
রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ভারতের স্টাইলে খেলা শুরু করে, কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে যায়। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ধাক্কা খায় টাইগাররা। ৩ বল খেলে মাত্র এক রান করে আউট হন তানজ়িদ হাসান তামিম। তিনে ব্যাট করতে নামা পারভেজ় হোসেন ইমন ২১ রানে ফেরেন। তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন, জাকের আলিরা টানা ব্যর্থ হন। ১২.৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৭ হয়ে যায় বাংলাদেশ।
সেই সময় দলকে টানার চেষ্টা করেন ওপেনার সাইফ হাসান ও মহম্মদ সইফুদ্দিন। সাইফ হাফ সেঞ্চুরি করেন কিন্তু মাত্র চার রান করে আউট হন সইফুদ্দিন। এর পর আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। একপ্রান্ত থেকে সাইফ হাসান দলকে টানলেও অন্য প্রান্ত থেকে সাহায্য পাননি তিনি। ৬৯ রানে আউট হন তিনি। সাইফই একমাত্র লড়াই করেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে।