দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :ঠিক এক বছর আগে আজকের দিনেই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা তথা বিতর্কিততম ফাইনালটি প্রতক্ষ করেছিলো তামাম দুনিয়া । এই প্রথম কোনো ফাইনালে শেষ বল পর্যন্ত ঝুলে ছিল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ বল পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছিলেন না, কে হবে চ্যাম্পিয়ন। এমনকি নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষ হওয়ার পরও বলা যায়নি কে নিচ্ছে শিরোপা।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালই দেখেছে প্রথম টাই ম্যাচ। টাই ম্যাচের মীমাংসা সুপার ওভারে হয়েছিল এবং সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়ে সে সুপার ওভারেও ঠিক সমান রান তোলে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। বর্তমান নিয়ম তখন চালু থাকলে আবারও সুপার ওভার খেলতে হতো দুই দলকে। কিন্তু বিশ্বকাপ ফাইনালের সময়ে নিয়ম ছিল সুপার ওভারও টাই হলে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারা দল ম্যাচ জিতবে। এই নিয়মের সৌজন্যেই প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড পায় বিশ্বকাপের স্বাদ।
এমন টান টান উত্তেজনার ম্যাচেও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক ইওন মরগান। একের পর এক ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পরও বেন স্টোকসের ওপর আস্থা রেখেছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু তিনিও এক মুহূর্তের জন্য আশা হারিয়ে ফেলেছিলেন। ভেবেছিলেন, সব বুঝি শেষ!
বিশ্বকাপ জয়ের এক বছর পূর্তিতে সে মুহূর্তটির কথা জানালেন মরগান, ‘একটি মুহূর্তেই শুধু মনে হয়েছিল হারতে পারি। জিমি নিশাম বেনকে বল করছিল। একটা স্লোয়ার বল এল। বেন সেটা লং অনে মারল। আমার মনে আছে বলটা তখনো বাতাসে এবং বলের গতিপথ বোঝা যাচ্ছিল। যখন আপনি ভালোভাবে মারেন, তখন বোঝা যায় এটা ছক্কা হতে যাচ্ছে। কিন্তু ওটা অনেক উচুতে উঠেছিল এবং সে যতটা চেয়েছিল তত দূরে যায়নি। এক মিনিটের জন্য আমার মনে হলো, শেষ, সব শেষ। বেন আউট। আমাদের তখনো ১৫ রান দরকার এক ওভারে।” ওই এক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল আমরা হেরে গেছি।’
৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে স্টকসের সে শট ঠিকই ট্রেন্ট বোল্টের হাতে পড়েছিল। কিন্তু ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারা বোল্ট সীমানা দড়িতে পা লাগিয়ে ফেলেন। স্টোকস তাই আউট হননি, উল্টো ৬ রান পেয়েছিলেন। পরের ওভারে বোল্টকে আরও দুই ছক্কা মেরে ম্যাচটা টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। আর সুপার ওভারের আগেই জানা গিয়েছিল, কোনো কারণে সেখানেও টাই হলে বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে ইংল্যান্ডই জিতবে বিশ্বকাপ।