দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বাবা দেশের সৈনিক, ছেলের ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে মাটিতে সোনা ফলানোর। খুড়তুতো দাদাকে আমেরিকা থেকে আপেল, ন্যাশপাতি, গাছ এনে বোম্বের ছাদে টবে ফলানো দেখে প্রথম অনুপ্রেরনা পায় নদীয়ার বগুলা কৌতুক নগরের প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। পাঁচ কাটা চাষের জমির মধ্যেই তেরো মাস আগে উপরে নাইলন নেট এবং চারিধারে লোহার নেট দিয়ে ঘিরে লাগিয়েছিল 40 টি গাছ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চারটি গাছ মারা গেলেও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে 36 টি গাছে। লভ্যাংশ ব্যাপারে প্রসেনজিৎ বাবু জানান বিদেশের মাটিথেকে এক একটি আপেলের চারা প্লেনে করে আনতে তার খরচ হয়েছে তেইশশো থেকে চব্বিশশো টাকা। সার এবং ওষুধ এবং বাগান ঘেরা ও পরিচর্যা দিয়ে কাজ করছ 700 টাকা মতো লাগে। এরপরে একটি গাছ থেকে 40 বছর ধরে শুধু বছরে দুবার করে ফসল ঘরে তোলা, যত বছর বাড়বে গাছের আকৃতি অনুযায়ী তত ফলনও বাড়বে। আবহাওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি অসুবিধা নেই, গ্রীষ্মপ্রধান পশ্চিমবঙ্গে। এলাকাবাসীও যথেষ্ট আশাবাদী এই চাষে। আগামীতে ন্যাশপাতি, আঙ্গুর সহ নানা মূল্যবান ফল পরীক্ষা করতে রাজি আছেন প্রসেনজিৎ বাবু।
Home রোজকেরে খবর রাজ্য অসাধ্য সাধন করে বগুলার মাটিকে কাশ্মীরের ভূস্বর্গ বানাতে চায়, নদীয়ার প্রসেনজিৎ