স্কিন টোন অনুযায়ী হেয়ার কালার বদলে দেয় ব্যক্তিত্ব

0
20

সন্তু ধর

হতে পারে হলিউডি গায়িকা বা হালফিলের টিকটক স্টার, হেয়ার কালার নির্বাচন বদলে দিয়েছে তাদের ব্যক্তিত্ব বদলে দিয়েছে তাদের ভাগ্য। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার ত্বকের রঙ অনুযায়ী বেছে নেবেন হেয়ার কালার।

জেনারেশন বদলে যাচ্ছে বদলে যাচ্ছে ফ্যাশন এর সংজ্ঞা। লম্বা চুলের ট্রেন্ড এখন ফিকে আবার চুলে কালার স্ট্রিক করা ট্রেন্ড  হয়ে উঠছে তরতর করে। বিশেষজ্ঞদের মতে চুল কালার করার আগে কয়েকটি জিনিসের উপর বিশেষ খেয়াল রাখলে ব্যক্তিত্ব বদলে ফেলা জাস্ট মিনিটের ম্যাটার।

তাদের মতে সব ধরনের  হেয়ার কালার সব চুলের গড়ন ও ব্যক্তির ত্বকের রঙের সাথে সম্পৃক্ত নয়। তাই মুখের গড়ন, ত্বকের রঙ বা চুলের গঠনের সাথে মিলিয়ে চুল রঙ করা হয় তবে সেই ব্যাক্তি কে তাফাল দেখতে লাগবে।

আজ আমরা মুখের গড়ন ও ত্বকের রঙের উপর ভিত্তি করে কোন হেয়ার কালার আপনার চুলে বেশ ভালো জৌলুস আনবে তা নিয়ে কিছু পথনির্দেশ দেব।

ডার্ক চকলেটঃ

এই হেয়ারকালার টি বহুল প্রচলিত। তাই প্রথমেই এটি নিয়ে আলোচনা করবো। এটি ইউনিভার্সাল হেয়ার কালার। তাই চুল লম্বা হলে কালার করার আগে নিচের দিকে লেয়ার, লেজার অথবা স্টেপ লেয়ার কাট দিয়ে নিন। এই হেয়ার কালারটি ব্যবহারে চুলের রঙের পার্থক্য খুব বেশি বোঝা না গেলেও একটা এক্সট্রা গ্ল্যামার অ্যাড করে। তাই  ফর্মাল লুকে পরিবর্তন আনতে চাইলে এটিকে বেছে নিন নির্দিধায়।

ব্রুনেট:

এই হেয়ার কালারটি চকোলেটের চেয়েও ডার্ক একটা রঙ। ত্বকের রঙ কালো অথবা শ্যামলা হলে চুল ঝলমলে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত দেখাতে এটি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের। কালার করার সময়ে সামনের দিকের চুলে লেয়ার করে  নিন যদি লম্বা স্ট্রেট চুল হয় অথবা কার্লি হেয়ার হলেও অনায়াসে এই রঙটি ব্যবহার করতে পারেন।

গোল্ডেন হাইলাইট এবং ব্রোঞ্জ কালার:

গ্ল্যামারাস পার্সোন্যালীটি ও উজ্জ্বল লুক চাইলে সফট ব্রোঞ্জ রঙের সাথে সোনালী হাইলাইট হেয়ার কালার বেছে নিন। ত্বকের রঙ ফর্সা  হলে এটিই আপনার লুক বদলে দেবে অবিস্মরনীয়ভাবে। এটি অ্যাপ্লাই করার পদ্ধতিটি সহজ। প্রথমে চুলে ব্রোঞ্জ কালার করে এরপর চুলের পেছনে ও সামনের দিকে কিছু চুল বাছাই করে গোল্ডেন রঙের হাইলাইট করে নিন। শুধু ফর্সা ত্বক নয়, যাদের চোখের রঙ হালকা বাদামি তাদের জন্যে এই হেয়ার কালার ডেফিনেটলি গেম চেঞ্জার।

বারগ্যান্ডী:

যেকোনো গড়ন ও রঙের স্কিন টোনের সাথে মানিয়ে নেওয়া এই রংটির বিশেষত্ব এর রিফ্লেক্সন প্রোপার্টি। এটি আলোর  ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন রঙ রিফলেক্ট করে। যারা করপোরেট দুনিয়াতে কাজ করেন বা ফ্রন্ট ডেস্কে থাকেন তাদের জন্যে এটি চারমিং ব্যক্তিত্ব তৈরি করে এক তুড়ীতেই।

গোল্ডেন কপারঃ

যারা পারফর্মিং আর্ট এর প্রফেশনে আছেন এই রঙটি তাদের জন্যে খুব এফেকটিভ। গোলাপি, পার্পেল ও সবুজ রঙের পোশাক পড়তে ভাল লাগলে এই রঙটি সঠিক পছন্দ। সব কার্লি চুল বা মাঝারি ধরণের চুলে এই রঙটি বেশ মানানসই।

শেড:

এটি স্টাইলিশ হেয়ার কালার। চুল একটু ছোট অর্থাৎ কাঁধ পর্যন্ত থাকলে শেড ভিশন ভাল লাগে।  উপরেরে দিকে গাঢ় হয়ে ক্রমাগত হালকা হতে হতে চুলের আগায় নেমে এসে আলোর দমকে পাল্টে দেয় আপনার ব্যক্তিত্ব। সাধরণভাবে চেহারার ধরন অনু্যায়ী যেকোনও শেড পছন্দ করে নিন। যেমন ত্বক ফর্সা হলে বাদামি, ব্রুনেট, গোল্ডেন কপার, সাম্বার, পার্পেল বারগ্যাণ্ডী ইত্যাদি। ডার্ক স্কিনের জন্য ডার্ক চকলেট, ব্রুনেট, কপার।

তবে মনে রাখবেন দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। ভাল ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার চুলের রঙ করে দীর্ঘস্থায়ী কোনও রকম স্বাস্থ্যহানি না করেই। আনাড়ি হাতে হেয়ার কালার না করানই বেস্ট। এখন অনেক প্রফেশনাল হেয়ার কালারিস্ট বা বিউটি স্যালুন রয়েছে, তাদের কাছে গেলে তারাই আপনাকে বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হেয়ার কালার। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here